অবিভাজ্য ধ্বনি কি বা কাকে বলে? অবিভাজ্য ধ্বনি কত প্রকার ও কী কী?

বিভাজ্য ধ্বনি ও অবিভাজ্য ধ্বনি

বিভাজ্য ধ্বনি ও অবিভাজ্য ধ্বনি

বিভাজ্য ধ্বনি ও অবিভাজ্য ধ্বনি কী?

মানুষ কথা বলার সময় একাধিক ধ্বনি মিলে বাক্য তৈরি করে। ধ্বনিসত্তার স্বরূপ বিচারে ধ্বনিকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

  • বিভাজ্য ধ্বনি।
  • অবিভাজ্য ধ্বনি।

বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে?

যেসব ধ্বনির উপাদানগুলোকে ভাঙ্গা বা পৃথক করা সম্ভব। তাকে বিভাজ্য ধ্বনি বলে।  যেমন- কমল = ক্ + অ + ম্ + অ + ল্ + অ । এখানে কমল শব্দটি ভাঙ্গলে ছয়টি ধ্বনি পাওয়া যায়। এই ছয়টি বিভাজ্য ধ্বনির উদাহরণ। সমস্ত স্বর ও ব্যঞ্জন ধ্বনিই বিভাজ্য ধ্বনি।

বিভাজ্য ধ্বনি দুই প্রকার।  যথা- স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।

বি.দ্র: এই পোস্টে আমরা শুধু অবিভাজ্য ধ্বনি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

 

অবিভাজ্য ধ্বনি

অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে?

প্রত্যেক ভাষায় কিছু ধ্বনির ব্যবহার হয় যেগুলোকে স্বাভাবিক বা কৃত্রিম কোনভাবেই বিভক্ত বা ভাঙ্গা যায়না অথচ একাধিক ধ্বনির সমন্বয়ে গঠিত হয় । এগুলোকেই অবিভাজ্য ধ্বনি বলা হয়।

আরও পড়ুন:

ভাষা কী? ভাষা প্রকাশের মাধ্যম কয়টি ও কী কী?

মাতৃভাষা কাকে বলে?

অবিভাজ্য ধ্বনির প্রকারভেদ

অবিভাজ্য ধ্বনি কত প্রকার ও কী কী?

অবিভাজ্য ধ্বনিগুলোকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো হলো-

  •  শ্বাসাঘাত।
  • স্বরদৈর্ঘ্য।
  • যতি।
  • সুরতরঙ্গ।

শ্বাসাঘাত কাকে বলে?

একাধিক সিলেবল যুক্ত শব্দ উচ্চারণ করার সময় যদি অপেক্ষাকৃত বেশি জোর দিয়ে উচ্চারণ করতে হয়। তখন তাকে শ্বাসাঘাত বলে।

শ্বাসাঘাত ঘটনাটি একটি দলের সাথে সরাসরি যুক্ত হওয়ার কারণে তাকে বিভাজন করা সম্ভব হয়না।  যেমন – মাখন, শব্দ প্রভূতি।  এখানে মাখন শব্দের মা এবং শব্দ এর শ দলে শ্বাসাঘাত পড়েছে।

আরও পডুন:

বর্ণ কি বা বর্ণ কাকে বলে? বর্ণ কত প্রকার ও কি কি?

বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক?

স্বরদৈর্ঘ্য কাকে বলে?

দলের অন্তর্গত স্বরধ্বনি‘র উচ্চারণগ‘ত দৈর্ঘ্যে‘র রেশ কম ঘটে। এটাকে‘ই স্বরদৈর্ঘ্য ব‘লা হ‘য়। যেমন – বাংলায় বহুদ‘ল শব্দে‘র প্রতি‘টি দলে‘র অন্তর্গ‘ত স্বরধ্বনি‘র তুলনা‘য় একদ‘ল শব্দে‘র স্বরের‘ দৈ‘র্ঘ্য বেশি। ফলে শব্দে‘র দৈর্ঘ্য‘ও বেশি। যেমন – আমার শব্দে‘র আ এর চেয়ে আখ শব্দে‘র আ এর দৈর্ঘ্য বেশি।

যতি কাকে বলে?

মুখ দিয়ে কোন শব্দ উচ্চারণের সময় শব্দের শেষে, মধ্যে, বাক্যের মধ্যে অথবা বাক্যের শেষে যখন রিবতি দেওয়া হয়, তাকে যতি বলে।

যেমন – রাহিমা একা দশজনকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

 

সুরতরঙ্গ কাকে বলে?

বাক্যের মধ্যে সুরের উঠানামা করাকে সুরতরঙ্গ বলে। একই বাক্যকে সুরের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বর্ণনা বা প্রকাশ করা যায়। যেমন-

বিবৃতিবাক্য বা নির্দেশক বাক্য- রহিম ভাত খায়।

প্রশ্নবোধক বাক্য—রহিম ভাত যায় ?

উপরে বাক্য একটি কিন্তু বর্ণনা দুইভাবে প্রকাশ বা বর্ণনা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন:

সন্ধি কাকে বলে? সন্ধি কত প্রকার ও কি কি?

###

এই পোস্ট থেকে আমরা অবিভাজ্য ধ্বনি কি বা কাকে বলে? অবিভাজ্য ধ্বনি কত প্রকার ও কী কী?  সম্পর্কে জানতে পারলাম। পোস্টটি কেমন লাগলো আমাদের কমেন্ট করে জানান। ধন্যবাদ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button